নিজস্ব প্রতিবেদক :: নির্বাচন কমিশনের সকল সেবাই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে এবং সংশোধন করতে হলে নিজেরটা নিজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে রকেটের মাধ্যমে সরকারি ২৩০ টাকা নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
অনলাইন আবেদনে নিজের যে মোবাইল নম্বরটি দেয়া হবে সেই নম্বরে নির্বাচন কমিশন থেকে এসএমএস আসবে। তারপর সংশ্লিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে খুলে হারানো কিংবা সংশোধিত এনআইডি ডাউনলোড করা যাবে। পাশাপাশি নতুন ভোটার হওয়ার জন্যও সরাসরি জেলা নির্বাচন অফিস কিংবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে এখন আর যেতে হচ্ছে না।
যাবতীয় কাগজপত্র অনলাইনে জমা দিলেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা সকল কাগজপত্র দেখে হারানো এবং সংশোধিত এনআইডি দিয়ে দিচ্ছেন। একই সাথে অনলাইনে জমা দেয়া যাবতীয় কাগজপত্রে নির্বাচন কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হলে নতুন ভোটার হওয়ার জন্যও অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম জানান, এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে নিজে ঘরে বসে অথবা বাইরে যে কোনো দোকান থেকে অনলাইনে আবেদন করে ২৩০ টাকা রকেটে ফি জমা দিলে মোবাইলে এসএমএস আসার পর ডাউনলোড করতে পারবেন। হারানোর ক্ষেত্রে জিডি করতে হবে। এই সেবা আগে থেকেই চালু আছে।
এনআইডি কার্ড সংশোধনও অনলাইনে করা যায়। যাবতীয় কাগজপত্র অনলাইনে জমা দিয়ে ২৩০ টাকা ফি রকেটে জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করলে সংশোধন করা যায়। বড় ধরনের সংশোধন না হলে যাবতীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দেখার পর যদি মনে করেন প্রার্থীর উপস্থিতি ছাড়াই সংশোধন করা যাবে- তাহলে সংশোধন করে দেয়া হয়। তখন আবেদনকারী যে স্থান থেকে ফরম পূরণ করেছেন সেখান থেকে সংশোধিত এনআইডি ডাউনলোড করতে পারেন।
জানা গেছে, হারানো কার্ড উত্তোলন বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন এনআইডি নেওয়ার জন্য অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। একই সাথে এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রেও অফিসে যেতে হবে না। নিকটস্থ যেকোনো দোকানে ২৩০ টাকা রকেটে জমা দিয়ে অনলাইনে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নিজের কার্ড নিজেই ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।
এই সেবা পেতে https://services.nidw.gov.bd ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করতে হবে। তার আগে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। কত টাকা ফি জমা দিতে হবে তা নির্ভর করবে কতবার এনআইডি নেওয়া হয়েছে তার উপর। প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে একরকম ফি, দ্বিতীয় কিংবা, তৃতীয়বারের জন্য আরেকরকম ফি; আবার জরুরি হলে আরো বেশি ফি জমা দিতে হয়। এজন্য ১০৫ নম্বরে ফোন করে বা ইসির ওয়েবসাইট থেকে টাকার অংক জেনে নেওয়া যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এভাবে প্রাপ্ত এনআইডি দেখতে হুবহু লেমিনেটিং করা এনআইডির মতো। এটি ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে কেবল নিজে থেকে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের কেউ এনআইডি না পেয়ে থাকলে কোনো ফি ছাড়াই পাবেন। এছাড়া যারা স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিস কিংবা উপজেলা কার্যালয়ে না যেতে চান, তারা অনলাইনে আবেদন করে সেবা নিতে পারবেন।
পাঠকের মতামত: